থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান সীমান্ত সংঘাত বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। শুক্রবার (২৫ জুলাই) জাতিসংঘে দেয়া এক বিবৃতিতে দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি চেয়া কেও বলেন, কম্বোডিয়া নিঃশর্তভাবে শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগেই থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালানকুরা জানান, সংঘাতের মাত্রা বিকেলের দিকে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে এবং ব্যাংকক আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, সম্ভবত মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ সীমান্ত সংঘাত শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে প্রবেশ করে। পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কামানের গোলা, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও পদাতিক সেনা ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে।
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী ওদ্দার মিনচে প্রদেশে থাই হামলায় ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত এবং আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪ জন বেসামরিক এবং একজন সেনাসদস্য। আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন, যাদের মধ্যে ১৫ জন সেনাসদস্য রয়েছেন।
থাইল্যান্ডের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বলেন, “কম্বোডিয়া যদি কূটনৈতিক বা দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে চায়, কিংবা মালয়েশিয়ার মাধ্যমে মধ্যস্থতা চায়, তবে থাইল্যান্ডও আলোচনায় রাজি রয়েছে।”
দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ থেকেই এ সংঘাতের সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার তা সশস্ত্র সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয় দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সদস্য। বর্তমান চেয়ারম্যান মালয়েশিয়া, যে দেশটির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলতে পারে।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেন, “পরিস্থিতি যদি আরও অবনতি ঘটে, তবে এটি যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। তবে বর্তমানে সংঘাত সীমিত পর্যায়ে রয়েছে।”
সূত্র: জাতিসংঘ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সরকারি সূত্র
এসকে//