পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণা হওয়ার পর আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা মো. এহসান হিরণকে (৪০) মিষ্টি খাইয়ে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঘোষেরহাট বাজার এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরণ এলাকায় প্রকাশ্যে আনন্দ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন। এরপর থেকে হিরণ দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকলেও শনিবার রাতে ঘোষেরহাট বাজার এলাকায় তাকে স্থানীয় জনতা দেখতে পেয়ে আটক করে। প্রথমে তারা হিরণকে মিষ্টি খাওয়ায়, পরে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আলী হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়রা হিরণের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েই গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। যুদ্ধপরাধের মিথ্যা মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. এহসান হিরণ। তিনি এলাকায় প্রকাশ্যে ফাঁসির রশি নিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন। আমরা তার বিচার চাই।’
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘ঘোষেরহাট বাজারের স্থানীয়রা আওয়ামী লীগ নেতা হিরণকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রোববার তাকে আদালতে তোলা হবে।’
এসি//