অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি তিন শিক্ষক। তারা হলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান।
ড. নাহরীন ইসলাম খানের অভিযোগ, ভোট প্রদানের পর আঙুলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও যে কালি দেয়া হচ্ছে তা উঠে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন।
এ শিক্ষক বলেন, এছাড়া শিক্ষার্থীদের বরাতে কালি ব্যবহার না করারও অভিযোগ পেয়েছেন। ভোটের নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে হাতে ব্যালট পেপার ও হাতে কালি দেয়ার কথা। এরপর বাক্সে ভোট প্রদান। কিন্তু ভোট দেয়ার পর এক্সিট করার সময় বাইরে থেকে কেউ হাতে কালি লাগিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ছাত্রদলের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর শিক্ষকদের সরে দাঁড়ানোর মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে নাকচ করে ড. নাহরীন বলেন, ‘আমি যে হলে দায়িত্বে ছিলাম, সেখানকার রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের কোনোভাবেই হেল্প করেনি। আমি চ্যান্সেলর ও ভাইস চ্যান্সেলরকে ফোন করেছি। এমনকি সেখানে দুই ঘণ্টা ভোট বন্ধ করেছিলাম। জাল ভোট মেনে নিতে না পেরে আমরা এই নির্বাচন বাদ দিয়েছি’।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, যে প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে সেটি একটি জামায়াতি প্রতিষ্ঠান। জাকসুর মত গুরুত্বপূর্ন নির্বাচনের ব্যালট কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো হয়েছে সেটি পযিনি টেন্ডার পেয়েছেন এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা না করে ম্যানুয়ালি গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশনও এক প্রকার স্বিকার করেছেন এ ব্যালট ছাপানোর প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি।
এসব কারণেই তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
আই/এ