২০২১ সালে পরাজয় স্বীকার করে আফগানিস্তান ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র। আবারো সেখানেই ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওয়াশিংটন। হাতছাড়া হওয়া বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনরুদ্ধারের জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। চীনের কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ভান্ডার থেকে বাগরাম ঘাঁটির অবস্থান মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ট্রাম্প। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, চীনের কাছাকাছি বাগরাম ঘাঁটির অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি ফেরত পেতে তালেবান সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি।
বাগরাম বিমান ঘাঁটিটি সোভিয়েত আমলে নির্মিত। যা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের মার্কিন টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ঘাঁটি ছিল। ওই ঘাটি থেকে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ২০২১ সালে ঘাঁটিটি থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার হলে, তালেবানরা ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
বিশ্বের বৃহৎ সামরিক বিমানঘাঁটির মধ্যে আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি একটি। ঘাঁটিটির রানওয়ে কংক্রিট ও স্টীল দিয়ে তৈরি, যার দৈর্ঘ্য ১১ হাজার ৮০০ ফিট বা ৩ হাজার ৬০০ মিটার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকটা এক ঘরে হয়ে পড়েছে আফগানিস্তান। এমন অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছে তালেবান সরকার।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, বাগরাম ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফেরত দিতে নারাজ আফগানিস্তান। এ বিষয়ে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তবে বাগরাম ঘাঁটিতে মার্কিন সেনার উপস্থিতি কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
এনএস/