সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ-রৌয়াইল সড়ক বালিশ্রী গ্রামের গোলজার মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙ্গন রোধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প বরাদ্দ করে। সরকারি এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অল্প কাজ করে অর্থ লোপাট করার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এ এলাকার ১৭টি গ্রামের মানুষ।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন কবলিত স্থান বালিশ্রী গ্রামে গোলজার মিয়ার বাড়ীর সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বালিশ্রী গ্রামের বসতবাড়ি সহ পাকা সড়কটি বিলীন হচ্ছে, রানীগঞ্জ-রৌয়াইল বালিশ্রী সড়কটি নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় এলাকার স্কুল কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থী সহ এলাকার ১৭টি গ্রামের জনসাধারণ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বালিশ্রী গ্রামের গোলজার মিয়ার বাড়ীর সামনে প্রায় দুইশত ফুট সড়ক একেবারেই কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। উক্ত ভাঙ্গন কবলিত স্থানে ২৩ সালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভাঙ্গন রোধের জন্য ৫৪ লক্ষ টাকার সরকারি প্রকল্প বরাদ্দ হয়, তবে ঠিকাদার প্রকল্পের নামমাত্র কাজ করে বেশির ভাগ অর্থ সংশ্লিষ্টরা লুটপাট করেছে।

বালিশ্রী গ্রামের আলতাউর রাহমান বলেন, আমাদের ১৭টি গ্রামের চলাচলের একমাত্র পাকা সড়কটি কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে, সরকার সড়কটি ভাঙ্গন রোধের জন্য জিও ব্যাগ প্রকল্প বরাদ্দ দেন, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অর্ধেক স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে দিয়ে কাজ বন্ধ করে চলে যায়।
আলমপুর গ্রামের আব্দুল মুক্তাদির খালেদ বলেন, সরকারি প্রকল্প এভাবে লোপাট করা নজিরবিহীন, যাঁরা সড়কের ভাঙ্গন প্রকল্প লোপাট করছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে বালিশ্রী সড়ক, এই সড়কটির ভাঙ্গন রোধের জন্য জিও ব্যাগ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ হয়নি, যে কোনো সময় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, এজন্য স্থায়ী ব্লক প্রকল্প দিয়ে সড়কটি রক্ষা করা প্রয়োজন।
বালিশ্রী গ্রামের আলখাছ মিয়া বলেন, বালিশ্রী গ্রামের গোলজার মিয়ার বাড়ীর সামনে সড়কটিকে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, লোক দেখান কাজ করে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন।
মানববন্ধনে ১৭টি গ্রামের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ এলাকার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ