গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (০৬ অক্টোবর) মিসরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি শীঘ্রই কোনও চূড়ান্ত চুক্তি না হয় তবে "ব্যাপক রক্তপাত হতে পারে।"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজব্রেক’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রোববার (০৫ অক্টোবর) ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, এই সপ্তাহান্তে হামাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আলোচনার প্রথম পর্যায় সফলভাবে এগোচ্ছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য কারিগরি দলগুলি সোমবার মিশরে পুনরায় মিলিত হবে।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত প্রায় তিন বছর ধরে চলছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইছেন, যা তিনি জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমাধান করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি সকলকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন এবং বলেন, সময় এসেছে অন্যথায় ব্যাপক রক্তপাত হবে—যা কেউই দেখতে চায় না। তবে হামাস যদি গাজার ক্ষমতায় থেকে যেতে চায়, তবে তারা ‘সম্পূর্ণ ধ্বংসের’ মুখে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ইসরাইল গাজায় প্রাথমিক পর্যায়ের সেনা প্রত্যাহার মানচিত্রে সম্মতি দিয়েছে। তার প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ ফিলিস্তিনি নিজেদের ঘরে ফিরতে পারবেন না। মানচিত্রে রাফাহ, বেইত হনুন, বেইত লাহিয়া, গাজা সিটির একাংশ, খান ইউনুস ও দেইর আল-বালাহর অর্ধেক অংশ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এদিকে প্রস্তাবিত মার্কিন শান্তি পরিকল্পনায় হামাসের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানোর পরও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ট্রাম্প ইসরায়েলকে ‘অবিলম্বে বোমা বর্ষণ বন্ধের’ আহ্বান জানালেও রোববার পর্যন্ত দখলদার দেশটির আক্রমণ চলেছে গাজায়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়। এরপর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬৭ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন।
এসি//