রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ১১টি সন্ত্রাসী বাহিনীর ৬৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
রোববার (৯নভেম্বর) ভোর রাত থেকে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন পদ্মার চরে অপারেশন ফার্স্ট লাইট অভিযান চালায়। রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান এ তথ্য জানিয়েছেন।
যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, ইঞ্জিনিয়ার হাসিনুজ্জামান কাকনের ‘কাকন বাহিনী’র সদস্য। অভিযানে দেশী-বিদেশী অস্ত্র, মোটরসাইকেল, মাদকদ্রব্য, নৌকা ও স্পিড বোটসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার হয়েছে।
ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের ১ হাজার ২০০ সদস্য এ অভিযানে অংশ নেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন।
তিনি জানান, অভিযানে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি গুলি, দুটি গুলির খোসা, ২৪টি হাসুয়া, ছয়টি ডোসার, দুটি ছোরা, চারটি চাকু, তিনটি রামদা, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি লোহার পাইপ, একটি টিউবওয়েল, পাঁচটি মোটরসাইকেল, ২০ বোতল ফেনসিডিল, ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
আর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চর থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, একটি স্পিড বোড, অস্ত্র রাখার একটি সিলিন্ডার, দুটি তাবু ও পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
ডিআইজি বলেন, ‘এই অভিযানই শেষ নয়। অভিযান শুরু হলো। এটি থেমে যাবে না। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চলবে। সন্ত্রাসী বাহিনীর কার্যক্রম পুরোপুরি নির্মুল সম্ভব না হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
পুলিশ জানায়, পদ্মার চরের কাকন বাহিনী ছাড়াও সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর মধ্যে রয়েছে মন্ডল বাহিনী, টুকু বাহিনী, সাঈদ বাহিনী, লালচাঁদ বাহিনী, রাখি বাহিনী, শরীফ কাইগি বাহিনী, রাজ্জাক বাহিনী, চল্লিশ বাহিনী, বাহান্ন বাহিনী, সুখচাঁদ ও নাহারুল বাহিনী।
এসব বাহিনীর বিরুদ্ধে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জেরে খুন, চরের চাষী ও জেলেদের হত্যা, চরের জমি দখল, বাথানের রাখাল ও মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, মাদক ও অস্ত্র পাঁচার, বেআইনী অস্ত্র দখলে রাখা, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ও সর্বহারাদের আশ্রয় দান, পদ্মা চরের খড়ের মাঠ দখল এবং ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।
আই/এ