জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদকে দর-কষাকষি করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। একসময় তারা বন্ধু ছিল। তারা একটা চক্রান্ত করছে। একটা ভাগ-বাঁটোয়ারার সাজানো নির্বাচন, একটা সমঝোতার নির্বাচন করার পরিকল্পনা তারা করছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এনসিপির মনোনয়ন বিক্রি শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ৬ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি করে এনসিপি।
নাহিদ বলেন, সমঝোতার নির্বাচন হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের যে নতুন সম্ভাবনা, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, সেটা ব্যর্থ হবে। এনসিপি এ ধরনের সমঝোতা বা বন্দোবস্তের নির্বাচনে কখনোই সায় দেবে না। বরং তারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
তিনি বলেন, এনসিপি এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা তাদের নিজেদের রাজনীতি নিয়ে জনগণের কাছে যেতে চান। তবে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার, বিভিন্ন দাবি ও নীতি-আদর্শের সঙ্গে যদি কোনো দল বা শক্তি ঐকমত্য পোষণ করে, তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনা থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি যদি কারও সঙ্গে জোট গঠনের আলোচনা করে তাহলে সেটি নিয়ে খোলামেলা কথা বলবেন। কিন্তু একধরনের মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে—এর সঙ্গে আলোচনা বা ওর সঙ্গে আলোচনা।
সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, যত মতবিরোধ থাকুক না কেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছে, বিভিন্ন প্রোগ্রামে যাচ্ছে, আলোচনা করছে। ইন্টারনাল (অভ্যন্তরীণ), ইনফরমাল (অনানুষ্ঠানিক) নানা আলোচনায় সবাই অংশগ্রহণ করছে। এটাই একটা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। সে ধরনের আলোচনাকে একটাভাবে ফ্রেমিং করার চেষ্টা যাতে গণমাধ্যমের মাধ্যমে না করা হয়, সে জন্য গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ রইল।
প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলনের পর ৩০০ আসনের জন্য দলটির মনোনয়নপত্র নেওয়া ১ হাজার ৪৮৪ জন প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করে এনসিপি।
আই/এ