দেশজুড়ে

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির ৫ সদস্য আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও জান্তা সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪২ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন গাছবুনিয়া পাড়ায় স্থানীয়দের কাছে আশ্রয় নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বিওপিতে নিয়ে যান। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে গাছবুনিয়া পাড়ার লোকজন হঠাৎই বিদেশি পাঁচজন সশস্ত্র সদস্যকে ক্লান্ত অবস্থায় এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন। পরে তারা জানতে পারেনএরা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্য যারা সীমান্তের তুমুল সংঘর্ষ থেকে পালিয়ে জীবন রক্ষার্থে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ৩৪ বিজিবির অধীন মংজয়পাড়া বিওপির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে। সীমান্ত পিলার ৪২ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে ওই সদস্যরা স্থানীয়দের শরণাপন্ন হয়েছিলেন বলে জানা যায়।

আটক ৫ সদস্যের পরিচয় জানিয়েছে বিজিবি তারা হলেন  কো কো সাইন (৩৫) , বিজিপি সেকেন্ড ইন্সপেক্টর, সোয়েথু রা (৩৮) , বিজিপি সদস্য অং সান হতু (২৫), বিজিপি সদস্য কিয়াও জায়ের লিন (৩২), সেনা বাহিনীর সদস্য মিন মিনও (৪১)

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আটক মিয়ানমার নাগরিকদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নেওয়া হবে।

অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানানতাদের এখনো থানা হস্তান্তর করা হয়নি। থানায় আনা হলে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সময়ে জান্তা সেনাবাহিনী, বিজিপি এবং বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে আরাকান ও শান অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ভয়াবহভাবে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এর ফলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

 

 আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #বিজিপি