বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টিকে হালকা করে দেখার কোনও কারণ নেই।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে, অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ ১৬ ডিসেম্বরের ঠিক দুইদিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিত হবে একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে বিগত ১৫/১৬ বছরে আওয়ামী লীগ শাসন আমলে একই ঘটনা ঘটেছে ভিন্ন আঙ্গিকে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পরযুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।”
এ বিএনপি নেতা বলেন, পলাতক ফ্যাসিস্টদের এতটুকু শিক্ষা হয়নি। তারা আবারও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি ও চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহকে হত্যাচেষ্টার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই চক্রান্ত সফল হতে দেবে না। অতীতেও দেয়নি, এটাই আমাদের শক্তি। এই দেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না এবং সঠিক পথে এগিয়ে যায়। কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না।
আই/এ