এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ওসমান হাদিকে গুলির পর তাদের কাছে মনে হয়েছে এই মুহূর্তে এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি যাতে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে না পারে সেজন্য নিজেদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই তারা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের যে সমমনা আট দলের সঙ্গে জোট করেছেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাত বরণ এবং তাকে প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড, এই শাহাদাত বরণের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি, বাংলাদেশে আধিপত্যবাদী আগ্রাসী শক্তি এখনো কার্যকর রয়েছে’।
তিনি বলেন, ফলে এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাদের মনে হয়েছে এই মুহূর্তে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য, প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে না পারে সেজন্য আমাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি এবং এই সমমনা আট দল একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জোটের ধরণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, এটি নির্বাচনী সমঝোতা জোট। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে সংকটগুলো রয়েছে, যেখান থেকে এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। জুলাই প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যে আমাদের আকাঙ্ক্ষা সেটা যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, এজন্য তারা একটা বৃহত্তর ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছেন।
সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আগামীকাল আমাদের প্রার্থী চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করব। সমঝোতায় আমাদের যারা প্রার্থী হবেন তারাই নমিনেশন ফরম জমা দেবেন। সারা বাংলাদেশে আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং তাদের সহযোগী সংগঠন গণভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে। যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে না, সেখানে অন্য প্রার্থী থাকবেন। এই সমঝোতা তাদেরকে সহায়তা করবে। তাদের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে’।
আই/এ