চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে এসেছে ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার ৮১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের ২৮ দিনে আসা এই রেমিট্যান্স গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। গেল বছর একই সময়ে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়।
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪১ কোটি ৬০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ১ হাজার ৩৫৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ।
এর আগে, জুলাই থেকে ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৩৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। একই সময়ে আগের বছর এসেছিল ১ হাজার ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর ওপর বিভিন্ন প্রণোদনা, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ এবং এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সক্রিয় ভূমিকার কারণেই প্রবাসী আয় বেড়েছে।
এর আগে গেল বছর রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে এক মাসেই দেশে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল।
গেল ২০২৪–২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছায়, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়া, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিও লক্ষ্য করা যায়।
এমএ//