আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–এর একাধিক নেতা বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব মনোনয়ন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে জমা দেওয়া হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি এম.এ হান্নান। একই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান মামুন স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ (সরাইল–আশুগঞ্জ ও বিজয়নগরের দুই ইউনিয়ন) আসনে বিএনপি কোনো দলীয় প্রার্থী দেয়নি। এ আসনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ–এর সহ-সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবকে। তবে বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুণ দে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৩ (সদর–বিজয়নগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। এ আসনে বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ছিদ্দিকি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৪ (কসবা–আখাউড়া) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দুইজন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মুশফিকুর রহমান এবং জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহামেদ ভূইঁয়া। একই আসনে বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন হাজারী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৫ (নবীনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি এম.এ মান্নান। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক কাজী নাজমুল হোসেন তাপস।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বিএনপি কোনো দলীয় প্রার্থী দেয়নি। এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলন–এর প্রধান সমন্বয়কারী মো. জোয়ায়েদ আবদুর রহিম সাকি। তবে বিএনপির বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য এম.এ খালেক।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সেটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। দল তাদের সমর্থন করে না। যাচাই-বাছাই শেষে কারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তা দেখে পরবর্তীতে দল তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
আই/এ