আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নওগাঁ: ৫১ জন আহত

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নওগাঁ: ৫১ জন আহত

নওগাঁয় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শহরের কেডির মোড় এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পুলিশের গুলিতে হেফাজত কর্মীদের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত কিছু পুলিশ সদস্য তাঁদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

দুই-তিন মিনিট পরে বিনপির নেতা-কর্মীরা আবারো জড়ো হয়ে দলীয় কার্যালয়ের পূর্ব দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তত ২০ মিনিট ধরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে ব্রিজের মোড়, কলেজ মোড় সড়ক ও কেডির মোড়-ব্রিজের সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে নওগাঁ সদর থানা ও পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দেয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কেডির মোড় এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোঁড়ে। এতে দলের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত বিএনপিকর্মী মিলি আখতার ও ছাত্রনেতা আজিজুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্যদের নওগাঁ সদর হাসপাতলসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পুলিশবিএনপি | সংঘর্ষে | রণক্ষেত্র | নওগাঁ | ৫১ | জন | আহত