আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ফাইজারের টিকা করোনার নতুন ধরনেও কার্যকর

ফাইজারের টিকা করোনার নতুন ধরনেও কার্যকর

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের টিকা কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই যে কোনো মানবদেহকে করোনার নতুন ধরণ থেকেও দিচ্ছে শতভাগ সুরক্ষা।

জার্মানির চিকিৎসাবিজ্ঞান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শুরু থেকে বায়োএনটেকের টিকা নেয়া কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের শরীরে নানাভাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে করোনার যে কোনো নতুন ধরন থেকে এই টিকা সুরক্ষা দেবে কমপক্ষে ৯১ শতাংশ। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় বায়োএনটেক ফাইজারের টিকা নিয়েছেন এমন ৮০০ জন মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই টিকা সে দেশের করোনার নতুন স্ট্রেন B1.351 থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে শতভাগ। শুধু তাই নয় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। যার বেশির ভাগই ফাইজারের টিকা।

কয়েকজন জানান, যদি আমরা টিকা নেই তাহলে অবশ্যই আনন্দের সঙ্গেই বায়োএনটেক এর টিকা নেব। সত্যি বলতে কি এই টিকায় এখনো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখিনি বা শুনিনি। সবচেয়ে চমৎকার বিষয় জার্মানির এই টিকা তৈরির আগে এবং প্রয়োগের পরে মানবদেহে কেমন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে তা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সবকিছু ঠিক থাকলে জার্মানির মারবুর্গেই চলতি বছরের মাঝামাঝিতে আরো ২৫০ মিলিয়ন ডোজ ও বছর শেষে ১০০০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা উৎপাদন করবে বায়োএনটেক ও ফাইজার, যা পৌঁছে যাবে বিশ্বের সব জায়গায়।

এদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর যুক্তরাজ্যে ৩০ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে মাত্র পাঁচজনের শরীরে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরে তা আরও ২৫ জনের শরীরে দেখা দেয়।

এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারে টিকাগ্রহীতার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে বলে প্রথমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। ব্রিটেন সে সময় জানিয়েছিল, তাদের দেশে এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হলেও এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ফাইজারের | টিকা | করোনার | নতুন | ধরনেও | কার্যকর