ভারতে পশ্চিমবঙ্গে স্ত্রীর সামনেই গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করছিল তার স্বামী। কিন্তু স্ত্রী তাকে না বাঁচিয়ে আত্মহত্যার দৃশ্যের ছবি তোলেন নিজের মোবাইল ফোনে! এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে হাওড়ার বালি থানা এলাকায়। পরে স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, পাঁচ বছর প্রেমের পর গত ১১ ডিসেম্বর বিয়ে করেন বালি বাদামতলার বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী আমান ও লিলুয়ার বাসিন্দা নেহা শুক্ল। বিয়ের পর কিছু দিন ভালোভাবে কাটার পর দুজনের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে।
স্ত্রী নেহার সঙ্গে হুগলির উত্তরপাড়ার এক যুবকের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠায় অশান্তির শুরু হয়। এরপর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মাঝে মধ্যেই অনেক রাতে পার্টি করে ফিরতেন নেহা। প্রায়ই জোর করে আমানের কাছ থেকে টাকা চাইতেন বলেও অভিযোগ।
নিহত আমানের পরিবারের জানিয়েছে, গত মার্চে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অমতে প্রেমিকের সঙ্গে দিল্লি যান নেহা। কিছুদিন কাটিয়ে ফিরে এসে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আমানকে চাপ দিতে থাকেন।
এ অবস্থায় নেহার মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ ছবি দেখতে পান আমান। পরে গত ৮ এপ্রিল রাতে এ নিয়ে দুজনের তুমুল ঝগড়া হয়। এ সময় নেহা তার মোবাইলে স্বামীর কথোপকথন রেকর্ড করতে থাকেন। উত্তেজিত হয়ে আমান বলেন, তিনি এমন কিছু করবেন, যা নেহাকে সারাজীবন মনে রাখতে হবে। এরপরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন আমান। যা নেহার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি হয়।
পরিবারের অভিযোগ, ওই সময় আমানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি নেহা। ঘটনা জানাজানি হলে নেহা বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার মোবাইল কেড়ে নেন। পরে তা পুলিশকে জমা দেয়া হয়। থানায় নেহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আমানের বাবা। পুলিশ গত সোমবার রাতে নেহাকে গ্রেফতার করে।
এএ