জিম্মি করে মুক্তিপণ না পেয়ে এক কিশোরকে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত কিশোরের নাম হাফেজ মো. অলি উল্লাহ স্বাধীন।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাত ২টায় আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে খুনের ২৫ দিন পর মাটির নিচ থেকে নিহত হাফেজ স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হাফেজ মো. অলি উল্লাহ স্বাধীন কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মো. মোবারক হোসেন ও লুৎফা বেগমের ছেলে।
এর আগে এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেতঝিরি থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল দুই আসামি ফয়েজ আহমদ (৩৮) ও মো. আরিফুল ইসলামকে (১৭) আটক করে।
খুনের ঘটনায় আটক দুই আসামি হলো- কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার খারাতাইয়া গ্রামের আব্দুল মালেক এর ছেলে মো. ফয়েজ আহমদ ও নিহতের আপন ফুফাতো ভাই কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুল গণি খাঁর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম।
নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল বলেন, গত ২২ মার্চ ছোট ভাই হাফেজ স্বাধীন তার ফুফাতো ভাই মো আরিফুল ইসলামের সঙ্গে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কয়েক দিন ধরে ছোট ভাইয়ের কোনো খোঁজখবর না পেয়ে আমরা গত ২৪ মার্চ কুমিল্লার বুড়িচং থানায় হারানোর জিডি করে।
জিডির সূত্র ধরে তার মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং করে মঙ্গলবার লামা থানায় আসি। আমাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লামা থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফয়েজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামকে সন্দেহভাজন হিসাবে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেতঝিরি ফয়েজ আহমদের শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ও তাদের দেখানো স্থানে মাটি খুঁড়ে আমরা নিহত হাফেজ স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দীর্ঘদিন হওয়ায় মরদেহ অনেকাংশ পঁচে গলে গেছে৷