পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের নিজেদের দাপট দেখালো টাইগাররা। তামিমের ক্যারিয়ারের ২৯তম অর্ধশত এবং মুমিনুলের অপরাজিত অর্ধশত ও শান্তর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০২ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ১২৫ রান ও অধিনায়ক মুমিনুল হক অপরাজিত রয়েছেন ৬৪ রানে।
বুধবার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। ম্যাচটি সরাসরি দেখাচ্ছে দেশের প্রথম ক্রীড়া চ্যানেল টি-স্পোর্টস ও গাজী টেলিভিশন। এছাড়া মোবাইলে দেখতে পারবেন গাজী টেলিভিশনের পার্টনার র্যাবিটহোলবিডির ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুরঙ্গা লাকমলের প্রথম ওভারেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ওভারে বিশ্ব ফার্নান্দোর প্রথম পাঁচ বল ডট খেলার পর শেষ বলটি আঘাত হানে সাইফের পায়ে। লঙ্কানদের আবেদনে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা সাড়া দেননি। কিন্তু লঙ্কান অধিনায়ক ম্যাচের প্রথম রিভিউ নিয়ে সাইফের বিদায় ঘণ্টা বাজান, শূন্য রানে ফিরতে হয় সাইফকে।
সঙ্গীকে হারালেও ওয়ানডাউনে নেমে তামিমকে দারুণ সঙ্গ দেন শান্ত। এরপর প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেও সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম-শান্ত। একপর্যায়ে ৭ চারে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকান শান্ত।
দলীয় ১৫২ রানে তামিম যখন ক্যারিয়ারের ২৯তম অর্ধশত তুলে আউট হন তখন দ্বিতীয় উইকেটে এ দুজন ১৪৪ রানের জুটি গড়ে। তামিম ১০১ বলে ১৫ চারের সাহায্যে ৯০ রান করে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হন। তাকে স্লিপে থিরিমান্নের ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচ নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন বিশ্ব ফার্নান্দো।
এরপর তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত অধিনায়ক মুমিনুলকে নিয়ে ১৫০ রানে অবিচ্ছিন্ন ইনিংস খেলেন। শান্ত ২৮৮ বলে ১৪টি অর্ধশত ও ১টি ছয়ে ১২৬ রানে অপরাজিত আছেন। অপরদিকে অধিনায়ক মুমিনুল হক ১৫০ বলে ৬টি চারে ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের স্কোয়াড
তামিম ইকবাল খান, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি ও এবাদত হোসেন চৌধুরী।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড
দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), লাহিরু থিরিমানে, ওসাদা ফার্নান্দো, পাথুম নিশানকা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, নিরোশান ডিকভেলা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, সুরাঙ্গা লাকমল, লাহিরু কুমারা ও বিশ্ব ফার্নান্দো।
এস