আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

অ্যাম্বুলেন্সে গৃহবধূর লাশ রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

অ্যাম্বুলেন্সে গৃহবধূর লাশ রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

ছয় বছর আগে রহিমা খাতুনের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় আলী হোসেনের। সুখেই সংসার করছিল ওই দম্পতি। তাদের ঘরকে আলোকিত করে জন্ম নেয় এক ছেলে ও এক মেয়ে। তিন দিন আগে পারিবারিক বিষয়ে রহিমার সঙ্গে স্বামী ও তার পরিবারের অন্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

বুধবার (২১ এপ্রিল) রহিমা অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বামীর পরিবার। তবে পথিমধ্যেই ওই গৃহবধূ মারা গেলে লাশ রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে রাতে দুধকুমোর নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনাটি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের কামারের চর এলাকার। নিহত রহিমা খাতুন ওই উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে।

স্বামীর পরিবারের লোকজনই রাবেয়াকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করছেন নিহতের বাবা বেলাল হোসেন।

তিনি বলেন, তিন দিন আগের ঝগড়ার জেরেই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমার মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে আমাদেরকে না জানিয়ে গভীর রাতে নাগেশ্বরী হাসপাতালে নেয়। পরে জানতে পারি হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই আমার মেয়ে মারা গেছে।

নাগেশ্বরী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, নিহতের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না- এটি হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা। যেহেতু ভিক্টিমের বাড়ি কচাকাটা থানায়, সেহেতু এ বিষয়ে কোনো মামলা হলে সংশ্লিষ্ট থানায় হবে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন অ্যাম্বুলেন্সে | গৃহবধূর | লাশ | রেখে | পালাল | শ্বশুরবাড়ির | লোকজন