আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

এবার দিল্লির শ্মশানে কাঠ সংকট; চিতায় জ্বলছে না আগুন

এবার দিল্লির শ্মশানে কাঠ সংকট; চিতায় জ্বলছে না আগুন

ভারতে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অক্সিজেন সংকটের কারণে প্রতিদিন বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। শুধু দিল্লিতেই করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫০ এর বেশী। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া মানুষের দেহ সৎকার নিয়েও হাজার বাধা বিপত্তিতে পড়েছে আপনজন হারানো শোকস্তব্ধ পরিবারগুলো।

ভারতের এনডিটিভি জানায়, এবার দিল্লিতে করোনায় মারা যাওয়ার পরও তাদের পরিজনের দেহ দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বহু শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করার কাঠ ফুরিয়ে গেছে। কাঠের অভাবে কেয়ারটেকারকে বাধ্য হয়ে শ্মশানের দরজা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এতদিন একটি মৃতদেহ দাহ করতে মৃতের পরিবারের সদস্যদের অন্তত ১০ ঘণ্টা লাইনে থাকতে হচ্ছিল। এখন এতক্ষণ অপেক্ষা করেও মৃত্যুপুরী দিল্লিতে শ্মশানে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এখন অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা শ্মশানে দাহ করার জন্য মানুষও পাওয়া যাচ্ছে না।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, সাধারণত দিল্লিতে যত সংখ্যক মৃত মানুষের সৎকার হয়ে থাকে তার থেকে বহুগুণ বেশি দেহ প্রতিদিন আসছে শ্মশান ও কবরস্থানে। গেল ১০ দিনে এমন ঘটনারই সাক্ষী দিল্লি।

দিল্লির রাস্তায় জনমানব নেই। ফাঁকা মন্দির, মসজিদ, গির্জাও। জনসমাগম শুধু হাসপাতালগুলোতে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসা একের পর এক মরদেহ সৎকারে সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে হয়রানি, ভোগান্তিতে। এমন দাবি করা হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমে।

দিল্লিতে করোনার জেরে শ্মশানের জন্য জমি বাড়াতে হচ্ছে। সৎকারের জন্য আরও ৫০টি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে ছাড় পাচ্ছে না পার্কিং লটগুলো। দিল্লির গাজীপুরে পার্কিং লটে চিতা জ্বালানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যে হারে করোনায় দিল্লিতে মৃত্যু মিছিল চলছে তাতে পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হচ্ছে।

শুধু কবরস্থান নয়। মৃত্যুর চাপে একই পরিস্থিতি দিল্লির শ্মশানেও। সেখানে চিতার আগুন নিভছেই না। বরং আরো চিতা রাখার জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এবার | দিল্লির | শ্মশানে | কাঠ | সংকট | চিতায় | জ্বলছে | আগুন