আর্কাইভ থেকে অপরাধ

সেই নেহা গ্রেপ্তার

সেই নেহা গ্রেপ্তার

এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিখোঁজ শিক্ষার্থী নেহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেহা রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত শিক্ষার্থীর বাবার করা মামলায় নেহা এজাহারভুক্ত আসামি। এর আগে মৃত শিক্ষার্থীর বাবা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করলে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ২৩ জনকে। অভিযান চালানো হয়েছে উত্তরার বিভিন্ন বার, ক্লাব, রেস্টুরেন্টে। মোট মামলা হয়েছে তিনটি।

এ নিয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই তরুণী ও তার বন্ধু রায়হানসহ চারজন শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) উত্তরার ব্যাম্বু রেস্টুরেন্টে যায়।

সেখানে তারা মদপান করে। এর মধ্যে একটা মেয়ে অসুস্থ হয়ে চলে যায়। আর বাকিদের মধ্যে আরাফাত, মর্তুজা রায়হান চৌধুরী এবং ভিকটিম উবারে করে মোহাম্মদপুরে নবোদয় হাউজিং এলাকায় নুহাদ আলম তাফসীরের বাসায় যায়। সেখানে তারা রাতযাপন করে। রাতে আরাফাত ও ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তাদেরকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল ও সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিটি হাসপাতালে শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরাফাত। আর রোববার দুপুরে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মারা যায় ওই শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এতে রায়হান, আরাফাত, তাফসীরসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ রায়হান ও তাফসীরকে গ্রেফতার করে রোববার পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়।

জানা গেছে, রিমান্ডে রায়হান পুলিশকে জানিয়েছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মাঝে প্রায়ই শারীরিক সম্পর্ক হতো। তাফসীরের বাসায় গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ওই রাতে তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ব্যাম্বু রেস্টুরেন্টের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে সেখানে তাদের অবস্থানের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ওই রেস্টুরেন্টে বসে মদ পান করলেও তারা মদ বাইরে থেকে নিয়ে গিয়েছিল। 

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সেলিম রেজা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শরীরে জোরপূর্বক ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে তার মৃত্যু হতে পারে। আমরা আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি।

রিপোর্ট এলে আমরা বিস্তারিত বলতে পারব। নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতনের পর তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষার জন্য আলামত পাঠানো হয়েছে।

ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, তদন্তের স্বার্থে আরাফাতের লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এস মুন্নী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নেহা | গ্রেপ্তার