আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় দেশে ফিরেছেন লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৬০ বাংলাদেশি। করোনাভাইরাস মহামারি ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার কারণে লিবিয়ায় আটকে পড়েছিলেন এই প্রবাসীরা।
বুধবার (৫ মে) সকালে বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ বিমানে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তারা। বিমানবন্দরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে আটকা পড়েছিলেন ওই বাংলাদেশিরা। আইওএমের ভাড়া করা বুরাক এয়ারের ফ্লাইটটি তাদের নিয়ে মঙ্গলবার লিবিয়ার বেনগাজি বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ফ্লাইটটি বুধবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।
একই ফ্লাইটে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণকারী এক বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহও দেশে আনা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রবাসীদের সবাই স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত এসেছেন। ওই প্রবাসীদের মধ্যে ৯ জন অসুস্থ ও ৭ জন হেপাটাইটিস-বি আক্রান্ত হওয়ায় লিবিয়ার বিশেষ জেলে আটক ছিলেন। দেশে আসা প্রবাসীদের বেশির ভাগ ৭ থেকে ৮ বছর লিবিয়ায় কাজ করেছেন। কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ বছরও কাজ করেছেন।
তবে লিবিয়ার বিরাজমান পরিস্থিতি, পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ না থাকা এবং দিনারের অবমূল্যায়নসহ নানা কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরত আসতে চাইছিলেন। কিন্তু লিবিয়া থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু না থাকায় তারা ফিরতে পারছিলেন না।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আইওএমের সহায়তায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের মধ্যে আইওএমের সহায়তায় এখন পর্যন্ত ৯টি ফ্লাইটে লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হয়েছে। এসব ফ্লাইটে ১ হাজার ৩৭৯ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন।
এএ