আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ভাত খাওয়ার সময় ভাই-ভাবিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ভাত খাওয়ার সময় ভাই-ভাবিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

পারিবারিক কলহের জেরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই ও ভাবির মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আলমগীর আলীপুর গ্রামের তাহির আলী ও গুলেমান বেগম দম্পতির ছেলে। অন্যদিকে, মুর্শেদা বেগম আলমগীরের স্ত্রী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা-মা ছিলেন এই দম্পতি। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে ছোট ভাই রাসেলের সঙ্গে বড়ভাই ও ভাবির বিরোধ চলে আসছিল। রোববার সন্ধ্যায়ও রাসেলে স্ত্রী বিপ্লোমা খাতুন ও আলমগীরের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের মধ্যে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়। 

নিহত আলমগীরের বড় ভাই ইউসুফ আলী বলেন, সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছিল। এ সময় রাসেল উত্তেজিত হয়ে ঘরে প্রবেশ করে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছোট ভাই আলমগীর ও তার স্ত্রী মোর্শেদাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।  

অভিযুক্ত রাসেল আলমগীরের আপন চাচাতো ভাই। 

নিহতের ভাগনে জানান, মামা আলমগীর যখন যা কাজ পেতেন তা দিয়ে সংসার চালাতেন। পারিবারিক কলহের কারণে এভাবে তাদের হত্যা করা হবে তা মেনে নেয়া যায় না। তিনি আসামি রাসেলকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। 

নিহত আলমগীরের ভগ্নিপতি বলেন, রাসেল তার স্ত্রীর উসকানিতে এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। 

এদিকে নিহতদের মরদেহ আজ (সোমবার) সুনামগঞ্জ আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সদর হাসপাতালের মর্গ ইনচার্জ আবুল মুনসুর বলেন, সকালে মর্গে লাশ নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ এখন আসামি ধরার জন্য তৎপর রয়েছে। মামলা দায়েরের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভাত | খাওয়ার | সময় | ভাইভাবিকে | ছুরিকাঘাতে | হত্যা