আকাশছোঁয়া সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। যা ভোক্তার কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ৩৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তা শুধু কাগজে-কলমে। মূল্য কার্যকর করতেও নেই কোনো জোরালো পদক্ষেপ। দাম যে নির্ধারণ করা হয়েছে তাও জানে না অনেকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ৩৯টি পণ্যের যৌক্তিক খুচরা দর নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। দাম নির্ধারণ করে সেই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোন তালিকা না থাকায় কোন পণ্যের দাম কত র্নিধারণ করা হয়েছে জানেন না তারা। বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচামালের দাম নির্ধারণ অযৌক্তিক, নির্ধারিত দামের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করছেন তারা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, অধিদপ্তর তদারকি টিম প্রতিদিন বাজারে যাচ্ছে। আমি নিজেও বাজার তদারকি করছি। পাশাপাশি আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছি। ওই মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা তা দেখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন :
ভারতের চেয়ে বাংলাদেশেই পণ্যের দাম বেশি বেড়েছে
বিক্রেতা জানান, বাজারে খোলা চিনি না থাকায় প্যাকেট চিনি ৯২ টাকা কেজিতে কিনে ৯৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিলিটার পাম তেলের নির্ধারিত মূল্য ১২৫ টাকা হলেও এই দামে তেল না পেয়ে লিটার প্রতি ১৩০ টাকায় কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করা হলেও তা অকার্যকর। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব সংস্থা, অধিদপ্তর কিংবা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয় তা কার্যকরের কৌশল তাদেরই বের করতে হবে। তা না হলে ভোক্তা কোনো সুফল পাবে না।
বায়ান্ন অনলাইন ডেস্ক
আসাদ ভূঁইয়া