আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির (এপিএসসিএল) অধীনে কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (ইস্ট) নামে ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে। এরই মধ্যে এ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসবে। এটি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে আরও ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। বললেন এপিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান।
এপিএসসিএল সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আশুগঞ্জকে পাওয়ার হাব ঘোষণা করে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছয় হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যে অধিক গ্যাস ব্যবহারকারী ছোট ইউনিটগুলোর পরিবর্তে বৃহৎ ইউনিট স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির সভায় কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (ইস্ট) নামে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে এটির নির্মাণ কাজ পায় চায়না ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন এবং চায়না ন্যাশনাল কর্পোরেশন ফর ওভারসিজ ইকোনমিকস কো-অপারেশন কনস্ট্রাকশন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ১৮০.৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনায় সবকিছু স্থবির হয়ে যায়। পরে চলতি বছরের ২২ জুন প্রকল্প থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। গেলো শনিবার থেকে কম্বাইন্ড সাইকেলে (পূর্ণ শক্তিতে) বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানায় ইউনিট কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বর্তমানে এপিএসসিএলের চলমান ছয়টি ইউনিট থেকে দৈনিক ১ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। নতুন ইউনিট চালু হলে দৈনিক প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এই পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল মজিদ বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ইউনিটে গেলো শনিবার ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।