বছরের এই সময়টাতে তীব্র তাপদাহে ঘাম, এনার্জির ক্ষয়, বিরক্তি- সব মিলিয়ে গরমকালের নামটা শুনলেই অনেকের নাক কুঁচকে ওঠে। তবে এত খারাপের মধ্যেও গরমকালে একটা ভালো জিনিস হলো রসালো আম, যা প্রতিটা মানুষ পছন্দ করেন।
তীব্র তাপদাহে জীবন অতীষ্ট হলেও গ্রীষ্মকালের জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকা মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। কারণ এই সময় লোভনীয় সব ফল চলে আসে হাতের কাছে। পাকা পাকা ফলের গন্ধে ম ম করে চারিদিক। বিশেষ করে গরম যত বাড়তে থাকে, ফলের রাজা আম খেতে আর তর সয় না কারও কারও। রসালো আমের তৃপ্তি যেন ভুলিয়ে দেয় গরমের কষ্ট। নানা জাতের আমের স্বাদে হারিয়ে যান অন্য ভুবনে।
কিন্তু এই আম আপনার স্বাদ আর শান্তির এই মুহূর্তকে করে দিতে পারে বিষাদের, যদি আম খাওয়ার পর এই পাঁচটি জিনিস আপনি খান...
পানি
ফল খাওয়ার পর পানি না খাওয়ার বিষয়টি অনেকেরই জানা। তারপরও তা কেউ কেউ আমলে নেন না। তেমনই আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করলে পেট ব্যথা, গ্যাস কিংবা বুক জ্বালা-পোড়া করতে পারে। এমনটা বারবার করলে অন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, যা গুরুতর হয়ে দাঁড়াতে পারে। আম খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা পর পানি পান করতে পারেন।
মরিচ ও মশলাদার খাবার
অনেক সময় পাকা আম একটু টক-টক লাগলে মরিচ-লবণ দিয়ে মেখে স্বাদ বাড়ান। এতেও হতে পারে সমস্যা। আম খাওয়ার পর মরিচ ও মশলাদার খাবার পেটে সমস্যা তৈরি করতে পারে, হতে পারে চর্মরোগও।
দই
পাকা আম টক কিংবা মিষ্টি দইয়ের সঙ্গে মেখে ভাত অথবা চিড়া দিয়ে খেতে অনেকেরই ভালো লাগে। এমন মেন্যু বাঙালির খাবারের তালিকায় দেখা যায় হরহামেশা। কিন্তু এতে নিজেরই ক্ষতি করছেন। আম-দই একসঙ্গে খাওয়া বা আম খাওয়ার পর পরই দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আম আর দই একসঙ্গে হলে অনেক বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়, যাতে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কোমল পানীয়
আম খাওয়ার পর পরই ঠাণ্ডা বা কোমল পানীয় খাওয়া বাদ দিন। এতে হতে পারে বড় ধরনের ক্ষতি। আমে থাকে অনেক শর্করা এবং কোমল পানীয়তেও রয়েছে উচ্চমাত্রার শর্করা। তাতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে এবং তা ডায়াবেটিক রোগীর জন্য হতে পারে খুবই বিপজ্জনক।
করলা
কখনও করলা ও আম একসঙ্গে করবেন না। আবার হতে পারে আম খাওয়ার পর খেলেন তিতা এই সবজিটি। এতে বমি বমি ভাব হতে পারে, বমিও করতে পারেন, হতে পারে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যাও।
আমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ থাকায়, তা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা যখনআমই করে তখন একটু সচেতন থাকতে তো হবেই। তবে আমরা সবাই কম বেশি আম খাওয়ার উপকারিতা জানি। তাই যেকোনো খাবার ফল হোক আর যাই হোক তার ভালো-মন্দ বিবেচনায় রাখতে হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া.কম
এস