চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে ড্রামভর্তি আতিয়া আক্তার (১৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্ত করে জানা যায় শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ড্রামে ভরে নিজ কর্মস্থলে নিয়ে যান স্বামী।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার স্বামী সোহানুর রহমানকে ।
স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ড্রামে ভরে গুদামে ড্রামটি রেখে দুই দিন অফিস করেন স্বামী। পরে অন্যের সহযোগিতায় ড্রামটি রাস্তার ধারে ফেলে দেন।
স্বামী সোহানুরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিক ও লিটন।
পুলিশ জানায়, দুই মাস আগে মামাতো বোন আতিয়াকে বিয়ে করেন সোহানুর। তিনি নগরের পতেঙ্গা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ঝগড়া হয়। এর জেরে সোহানুর ক্ষিপ্ত হয়ে ১১ অক্টোবর রাতে আতিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে হত্যা করেন। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ।
পুলিশ আরো জানান, আতিয়াকে হত্যার পরদিন সকালে সোহানুর তার পূর্বপরিচিত রুবেল ও আশিককে বাসায় ডেকে নেন। তাদের সহযোগিতায় স্ত্রীর লাশ একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে রাখেন। বাসার আশপাশের লোকজন সন্দেহ করতে পারেন; এমনটা ভেবে সোহানুর তার কর্মস্থল একটি নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গুদামে লাশভর্তি ড্রামটি নিয়ে যান। বাসা ছেড়ে দেওয়ায় কিছু সময়ের জন্য ড্রামভর্তি মালামাল কর্মস্থলের গুদামে রাখার কথা বলেন তিনি। গুদামে ড্রামভর্তি স্ত্রীর লাশ রেখে ১২ ও ১৩ অক্টোবর দুই দিন কাজ করেন সোহানুর।
১৩ অক্টোবর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার কালীবাড়ি সড়কের পাশ থেকে ড্রামভর্তি অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।