দায়িত্ব নেয়ার ৪৫ দিনের মাথায় নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
গেলো বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) তার এই ঘোষণার পর এখন তার উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুক্রবারের (২৮ অক্টোবর) মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নির্বাচনে এগিয়ে আছেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
তারপরেই আছেন বরিস জনসন যিনি করোনাকালে লকডাউনের মধ্যে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন থেকে শুরু করে বহু বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করেছিলেন। তবে এখনো পার্লামেন্ট ও দলে তার অনেক মিত্র আছেন।
লিজ ট্রাসের পদত্যাগের একদিন পরই নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হাউস অব কমনসের নেতা পেনি মরডন্ট।
তবে যিনিই ওই পদের প্রার্থী হন না কেন, তাকে ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে ন্যূনতম ১০০ জনের সমর্থন পেতে হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি জরিপ বলছে, এখন পর্যন্ত কনজারভেটিভ এমপিদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ ঋষি সুনাকের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন, বরিস জনসনকে সমর্থন করেছেন ৩০ শতাংশ এবং পেনি মরডন্টের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন ১৬ শতাংশ।
অবশ্য নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে এখনো নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি ঋষি ও বরিস। তবে অনেকে মনে করছেন, নাটকীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর আসনে আবারও ফিরতে পারেন বরিস জনসন। ঋষি সুনাকের ক্ষেত্রেও আছে জোর সম্ভাবনা।