র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা অন্যায় করলে তাদের শাস্তি দেয়া হয়ছে। অনেক র্যাব সদস্যের ডিমোশন হয়েছে। অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছে। আর কয়েকজনের ফাঁসির আদেশও এসেছে। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
ড. আব্দুল মোমেন, সরকার কাউকে জোর করে নিয়ে মারে না। আমেরিকার মতো উন্নত দেশে, পুলিশের গুলিতে বছরে হাজার মানুষ মারা যায়। আমাদের এক্সট্রাজুডিশিয়ালি কেউ কিল হয়েছে বলে জানা নেই। র্যাব যদি দুর্ঘটনা ঘটনায় তখন তাদের শাস্তি হয়।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ না করেই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) বসানো হলো। এর পরিণতি আমরা ভোগ করছি। যাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন, তাদের কিছুই হয় না। যুদ্ধ থামাতে যাই করা হোক তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়, কার্যকর হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী চান, কারো সঙ্গে শত্রুতা না করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। বঙ্গবন্ধুর এই নীতি ছিল। যখন ইস্টার্ন ও সোভিয়েত ব্লক আমাদের চাইছিল, বঙ্গবন্ধু কারও পক্ষ না নিয়ে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক করেন। এটা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। প্রধানমন্ত্রীও তাই করছেন। আমরা সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক করতে পারলে আর অভাব-অনৈক্য থাকবে না। যুদ্ধ-বিগ্রহ থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এটা দেখে আলবেনিয়াসহ আরও অনেক রাষ্ট্র তাদের দেশের গণহত্যার বিষয়ে স্বীকৃতি পেতে প্রস্তাব দিয়েছিল। জাতিসংঘ সেখানে কৌশলে একটি দিবসকে (৯ ডিসেম্বর) গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।