রাজধানীর কলাবাগানে ডলফিন রোডে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন। তাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লিয়াকত আলী বিষয়টি জানিয়েছেন।
গেলো ৭ জানুয়ারি দুপুরে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তাকে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায়। নিয়ে গিয়েছিলেন ইফতেখার ফারদিন দিহান। পরবর্তীতে জানা যায়, আনুশকা দিহানের বাসাতেই ছিলেন। সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার দিন রাতে কালবাগান থানায় দিহানকে আসামি করে মামলা করেন আনুশকার বাবা মো. আল আমিন। আনুশকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় মামলাটি করা হয়। পরদিন ৮ জানুয়ারি দিহানকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওইদিন বিকেলে আনুশকার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেসনিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আনুশকার মৃত্যু হয়েছে। তার যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ দুই দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ময়নাতদন্তে দেহের দুই অংশেই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ধস্তাধস্তির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তদন্ত শেষে গেলো ৮ নভেম্বর ফারদিন ইফতেফার দিহানকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. খালেদ সাইফুল্লাহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামি দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।