জ্বালানি সংকট সমাধানে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা চেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বেইজিং রপ্তানি করার মতো সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। তবে জরুরি পরিস্থিতি হলে চীন অবশ্যই পাশে দাঁড়াবে। বললেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
লি জিমিং বলেন, এ অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি প্রতিশ্রুতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি (বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে) আশা করছি। আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশে চীনা ঋণের ফাঁদ নেই। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোনো চীনা ঋণের ফাঁদ নেই।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার চেয়ে অনেক ভালো। পশ্চিমাদের বাণিজ্যিক ঋণের কারণে শ্রীলঙ্কার এই পরিণতি। দেশটির মোট ঋণের ১০ শতাংশ চীনের।
লি জিমিং বলেন, চীনের সহায়তায় নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা ও বেইজিং।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন মত পোষণ করে। চীন শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে আলোচনা ও আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনা রষ্ট্রদূত বলেন, এ সমস্যা সমাধানে চীন গভীরভাবে চেষ্টা করছে। নীরবে কাজ করে চলেছে বেইজিং। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে। তবে সেজন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।