আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বাজারে বাড়ছে তেল ও পেঁয়াজের ঝাঁজ

বাজারে বাড়ছে তেল ও পেঁয়াজের ঝাঁজ

রোজা শেষে ঈদ পেরিয়ে গেলেও দ্রব্যমূল্যের লাগাম কিন্তু এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রাজধানীর বাজারে, তেল ও পেঁয়াজের ঝাঁজের পাশাপাশি বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয়  অন্যান্য পণ্যের দাম।

রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের শুরুতেই বেশি বেড়েছে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম এছাড়া চাল, আটা, ময়দা, রসুন ও ডালের দাম গত এক সপ্তাহে বেড়ে গেছে।

গরুর মাংস এখন  ৬০০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম নাগালের মধ্যে হলেও দেশি মুরগির দাম বেশি। এছাড়া বেড়ে রয়েছে গুঁড়োদুধের দাম।

এর ফলে নিত্যদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে চাপে পরেছেন সীমিত আয়ের মানুষ। একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে  কমে গেছে আয় অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। সব মিলিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।  অল্প আয়ের মানুষের বড় অংকের টাকা বাসা ভাড়া আর বাজারেই শেষ হচ্ছে।  

বাজারে  চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম গেলো তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়ে গেছে। দাম বেড়ে চিকন চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, যা দুই দিন আগেও ৬০ থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। গরিবের মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। বোরো নতুন চাল বাজারে আসার পরেও চালের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। নতুন চালের দাম কিছুটা কম হলেও পুরনো চালের দাম বেশি।

দাম বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক প্যাকেট আটার দাম বেড়ে এখন ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে।

খোলা  সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত শুক্রবার ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকার মধ্যে। আর পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা আগে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত।

আর পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গেলো শুক্রবার ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বেড়েছে রসুনের দাম। আমদানি করা রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, গেল সপ্তাহে যা ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ছিল।

মুক্তা মাহমুদ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বাজারে | বাড়ছে | তেল | ও | পেঁয়াজের | ঝাঁজ