সম্প্রতি একের পর এক যুদ্ধে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারের বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন, মর্টার হামলাসহ সীমান্তে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রটোকল ব্যত্যয় না হওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজিপি।
আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপে সাউদার্ন পয়েন্ট রিসোর্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
সেখানে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বৈঠক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
বিজিবির সদর দপ্তর সূত্রে থেকে জানা গেছে, সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানান পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে মর্মে একটি চিঠি পাঠায়। পরে রোববার সকাল ১০টার দিকে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। সেটি শেষ হয় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে।
বৈঠকে মাইন বিস্ফোরণ, মাদক চোরাচালান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার আরও জানান, সুনির্দিষ্টভাবে বিষয়গুলো প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরা হয়। তারা কিছু কিছু বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছে এবং প্রতিশ্রুতও দিয়েছে ভবিষ্যতে ব্যত্যয় না ঘটার।
এর আগে রোববার সকাল ৯টায় মিয়ানমারের পিইন ফিউ ১ নাম্বার বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো’র নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল নাফনদী হয়ে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাটে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান- টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
পরে সকাল পৌনে ১০টায় পতাকা বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়। পরে বিকাল ৩টায় তারা নদীপথে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।