রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান (১৫) হত্যায় আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শাহিনুর বেগম ও নান্নু মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। রায় ঘোষণার সময় এই আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদীকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান আসামি ওলি। মেহেদীর বোনের ছেলে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান মেহেদী অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। আহত মেহেদীকে মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। ঢামেকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা মোশারফ ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান।
২০১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। বিচার চলাকালে এ মামলায় আদালত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।