আওয়ামী লীগ সরকার আসার আর কখনোও দুর্ভিক্ষ দেখা যায় নি। আমরা দেশের দারিদ্র বিমোচন ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে আনতে পেরেছি। অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। কিন্তু যে কাজগুলো করেছি তার সুফল পাচ্ছে মানুষ। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের ২৫ জেলায় ১০০টি সড়ক সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বহু সড়ক আজকে আমরা মহাসড়কে রূপান্তর করে দিচ্ছি, যাতে যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত হয়। চার লেন বা ছয় লেন করেও আমরা সেতু করে দিচ্ছি, কারণ আমরা চাই যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত হোক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, সেখানে সেটা করে দিয়েছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য দারিদ্র্যের হাত থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে মুক্তি দেয়া। সে লক্ষ্য কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, এসব সেতু নির্মাণের ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে কাজ করা আরও সহজ হবে। কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নাগরিকদের সাশ্রয়ী হতে এবং যার যেখানে সম্ভব শাক-সবজি থেকে শুরু করে যা পারেন তাই উৎপাদন করুন। আমাদের প্রত্যেককেই সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং সাশ্রয়ী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। যে কারণে অর্থনীতির গতিশীলতা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। এর মধ্যেও সেতু উদ্বোধন করায় সেতুমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি রয়েছে।