রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশ (২৩) নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নদীর বনানি ঘাট থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। পরে সদর নৌ থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সঙ্গে থাকা মোবাইলের সূত্র ধরে পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় স্বজনরা গিয়ে পরশের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, নিজ এলাকায় বা বুয়েটে পরশের কোনো শত্রু নেই। তার বাবা নুরুদ্দিন রানা বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ওসি মনিরুজ্জামান আরও জানান, ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গেলো ৪ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোজ হন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরশ। সবশেষ তার সঙ্গে দেখা হয়েছে এক নারী সহপাঠীর।
সেই সহপাঠী জানান, সায়েন্স ল্যাব থেকে ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে টিএসসিতে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর রামপুরা বিটিভি অফিস এলাকা পর্যন্ত তাকে এগিয়ে দিয়ে বিদায় নেন পরশ। এরপর থেকে পরশের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে রাতে পরশ বাসায় না ফেরায় বাবা নূর উদ্দিন রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।