সিরাপ জাতীয় ওষুধে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতির কারণে কিডনি বিকল হয়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৫ জনে ।
সোমবার (৭ নভেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডি হিন্দুতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গত আগস্ট থেকে শিশুদের ব্যাপক হারে কিডনি বিকলের ঘটনা ঘটতে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের পর সব ধরনের তরল ওষুধ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ শিহরিল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিভিন্ন প্রদেশে এখন পর্যন্ত ৩২০টির বেশি শিশুর কিডনি বিকলের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে এবং ২৭টি শিশু এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশের বয়স ৫ বছরের নিচে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর সবশেষ ১৩৩ শিশু মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ শিশুর মৃত্যুর কারণ অত্যধিক পরিমাণে ইথিলিন গ্লাইকোল এবং ডাইথাইলিন গ্লাইকোল যুক্ত সিরাপের কারণে, দুটি উপাদান শিল্পজাত পণ্যে ব্যবহৃত হয়, বলেন শিহরিল।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা গত মাসে পাঁচটি সিরাপের নাম দিয়েছে, যেগুলোতে ক্ষতিকারক মাত্রার বিপজ্জনক পদার্থ রয়েছে। একইসঙ্গে পণ্যগুলো বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার এবং ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াতেও কিডনি বিকল হয়ে ৭০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি চারটি সর্দিকাশির সিরাপ দায়ী এসব মৃত্যুর জন্য।