ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি রবিউল ইসলামকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা এ রায় দেন। দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকেই মামলাটি দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। মামলায় মোট ৫৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে পরে মামলাটি দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের মালি রবিউল ইসলাম (৩৫), তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে তাকে ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমের ভাই পুলিশ পরিদর্শক শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ১১ সেপ্টেম্বর মালি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ১২ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আদালতের আদেশে ডিবি পুলিশের হেফাজতে ৯ দিনের রিমান্ডে ছিল। ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন তৎকালীন ডিবির ওসি ইমাম জাফর।