গেলো ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ছয় শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩ লাখে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৭ হাজার ৭৬৭ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৮৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, জাপান ও রাশিয়া।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪০১ জন এবং মারা গেছেন ৭০ জন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্স। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৯১ জন এবং মারা গেছেন ১১৭ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২০ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭১২ জনের। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ২৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৭৮ জন এবং মারা গেছেন ১০৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬০১ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ৯৭৪ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন। একইসময়ে চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩০ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৭০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৪৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৯ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে সংস্থাটি।