পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাটে করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ৪৭ দিন পর নদীর তলদেশের বালুর নিচে গলিত অবস্থায় আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে বোদা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও পাথর শ্রমিকেরা।
নিহত ওই ব্যাক্তির নাম- জয়া রাণী (৪)। তার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাতিয়াপাড়া গ্রামে। শিশুটি ওই গ্রামের ধীরেন্দ্র নার্থ রায়ের মেয়ে।
আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকালে নৌকা বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা এক শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর শিশুটির পরিবারের সদস্য এসে পড়নের কাপড় দেখ জয়া রাণীর মরদেহ বলে চিহিৃত করেন। নৌকা ডুবিতে জয়া রাণীর ছোট বোন যতি রাণী (২) মারা গেছে। মায়ের সঙ্গে তারা মহালয়া অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। শিশু দুইটির মা নৌকা ডুবিতে বেঁচে ফিরেছেন।
গেলো ২৫ সেপ্টেম্বর বরদেশ্বরী মন্দির মহালয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আউলিয়ার ঘাটে নৌকায় চড়ে নদী পাড় হওয়ার সময় নৌকা ডুবিতে ৬৯ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এখনও আরো একজন নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার পাথর শ্রমিকরা নৌকা ডুবি স্থানে পাথর তুলতে গেলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। দুগন্ধ পেয়ে তারা পাথরা উত্তোলন বন্ধ রেখে স্থানি মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে আবু আনছার মো,রেজাউল করিম শামিমকে খবর দেয়।
চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক ভাবে বোদা ফায়ার সার্ভিস কে খবর দিলে. বোদা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা স্থানিয় পাথর শ্রমিকদের সহায়তায় বালুর নিচ থেকে শিশুটির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিখোঁজ পরিবারদের খবর দেয়া হয়। নিখোজ পরিবারের সদস্য করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে এসে মরদেহের পড়নের কাপড় দেখে জয়া রাণীর লাশ বলে চিহিৃত করেন।
বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় ও স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আনছার মো,রেজাউল করিম শামিম পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করেন।