বিএনপির আমলে কী হতো তার জন্য বেশি দূর যেতে হবে না। ২০০১ সালের নির্বাচন, মাগুরার নির্বাচন, ঢাকা-১০ নির্বাচনগুলো স্মরণ করলে হবে। ভোটের সিল মারা থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম হতো তাদের আমলে। কথাই ছিল (প্রচলিত) ১০ হোন্ডা, ২০ গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর হত্যা, খুন, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, ভোট চুরি, মানি লন্ডারিং- এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর একটানা ২০২২ পর্যন্ত এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা তা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আমলে ভোটের সিল মারা থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম হতো। যার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছে। ২০০৬ সালে নির্বাচন করার জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট করেছিল বিএনপি।
সভায় রিজার্ভ নিয়েও কথা বলেন সরকারপ্রধান। বলেন, মানুষের কাজে লাগানোর জন্য রিজার্ভের টাকা ব্যবহার হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যারা বলেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল। কেন খরচ হচ্ছে। তাদের বলছি দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হয়েছে। এখনও ৫ মাসের ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে। রিজার্ভের টাকা গেছে গম, ভুট্টা, ভোজ্যতেলসহ মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই, রিজার্ভ নিয়ে তো খুব আলোচনা, আমরা কী করেছি। আমাদের জ্বালানি তেল কিনতে হয়েছে। এলএনজি যেটা ৬ ডলারে কিনতে পারতাম, সেটা এখন ৬২ ডলার, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেলসহ প্রত্যেকটার দাম বেড়েছে। করোনার টিকা কিনতে হয়েছে। আপনার দেখেছেন শত শত সেতু হয়েছে। একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন। আজ পর্যন্ত কেউ করতে পেরেছে? বিএনপি তো ক্ষমতায় ছিল, তারা দাবি করে এতো বছর, তারা কী করতে পেরেছে? পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার করতে পেরেছে। পদ্মা সেতুর মতো সেতু আমাদের নিজেদের অর্থায়নে করেছি। রেল, বিমান, নদী ড্রেজিং, খাদ্য ক্রয় করেছি।