দক্ষিণের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন পূরণের পথে। শিগগিরই খুলে দেয়া হবে পটুয়াখালীর 'পায়রা সেতু'। এটি চালু হলে ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। উন্নতি হবে আর্থসামাজিক অবস্থারও। কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতুর ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
যোগাযোগে নতুন দুয়ারে দক্ষিণের উপকূল। দৃশ্যমান পটুয়াখালীর পায়রা সেতুর পুরো অবয়ব।
করোনার কারণে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন পুরোদমে চলছে কাজ। চারলেনের এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার। মোট ৩১টি পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৩২টি স্প্যান। এর মধ্যে ২০০ মিটার করে দেশের দীর্ঘতম দুটি স্প্যান বসেছে পায়রা সেতুতে। নদীর তলদেশে করা হয়েছে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইলিং যা দেশের সর্ববৃহৎ। নৌযান চলাচলের সুবিধায় ব্যবহার করা হয়েছে এক্সট্রাডোজ ক্যাবল স্টেট পদ্ধতি।
উভয়পাশে ১ হাজার ২৬৮ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, টোল প্লাজা ও প্রশাসনিক ভবনসহ প্রকল্পের ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের সৌন্দর্যবর্ধনসহ আনুষাঙ্গিক কাজ।
এই সেতুর মাধ্যমে ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। উন্নয়ন হবে আর্থসামাজিক অবস্থারও।
আগামী জুলাইয়ের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ করার আশা সেতু কর্তৃপক্ষের।
২০১৩ সালের পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।
এস