কাতারে চলছে বিশ্বকাপের মহা আসর। নান্দনিক স্টেডিয়াম ও অবকাঠোম নির্মাণে কাজ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমিকরা। কয়েক বছর ধরে চলে এ নির্মাণ কাজ। হাজার হাজার শ্রমিকে ঘামে নির্মিত এই কাঠামোতে আজ চলছে মহাযজ্ঞ। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে কত শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন বা কত শ্রমিক আহত হয়েছে তার কোনও সঠিক হিসাব নেই। এ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কথা বললেও এতাদিন চুপ ছিল কাতার।
এবার আহত ও নিহত শ্রমিকদের নিয়ে একটা ধারণা দিয়েছে কাতার।
ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ের্স মর্গ্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক সুপ্রিম কমিটির সাধারণ সচিব হাসান আল-থাওয়াডি বলেন, অনুমান করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ জন শ্রমিক বিশ্বকাপের পরিকাঠামো তৈরির সময় মারা গেছেন। আমার কাছে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নেই। তবে এই সংখ্যা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কাতারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে বিশ্বকাপের পরিকাঠামো তৈরির সময় ৩৭ জন কর্মী মারা গেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, কাতারের কর্তাই বলছেন মৃতের সংখ্যা সেই দাবির অন্তত ১০ গুণ। যদিও বহু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, এই মৃতের সংখ্যা ৬৫০০!
বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম গড়ে তোলার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়েছে কাতার। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকাংশই নেপাল, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা ফিলিপিন্সের।
এই আবহে কাতারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড নিয়ে সরব হয়েছে বহু দেশ। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর দাবি, বিগত কয়েক বছরে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম তৈরি করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫০০ পরিযায়ী শ্রমিক।
৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ কাতারে ৫০ শতাংশেরও বেশি বিদেশির বাস। সেই দেশে ভারতীয় থাকেন সব থেকে বেশি। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহার কাছেই একটি ‘জোন’ রয়েছে, যেখানে প্রায় বন্দিদের মতো বাস করতে হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের।