ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় স্টাম্প ভেঙেছেন সাকিব। পরের ওভারে স্টাম্প তুলে মেরেছেন আছাড়। এরপর তেড়ে গেছেন আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের দিকে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। পরে ক্ষমা চাইলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, শাস্তি হবে সাকিবের।
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সাত ম্যাচ খেলেও এখন পর্যন্ত একটি হাফসেঞ্চুরি পাননি সাকিব আল হাসান। এদিন, সাকিব ও মাহমুদুল হাসানের (৩০) ব্যাটিংয়ে মোহামেডান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছে। এই রানে জিততে গেলে মোহামেডানকে পুরনো ইতিহাস পাল্টাতে হবে।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে রীতিমতো ধুঁকতে থাকে আবাহনী। নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম দলকে বিপদ থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছেন।
আবাহনীর তখন ৩ উইকেটে ২১ রান। পঞ্চম ওভারে বল হাতে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ওভারের পঞ্চম বলটিই আঘাত হানে আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম প্যাডে। সাকিব এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন, কিন্তু আম্পায়ার তাতে অনড়।
কিন্তু এরপরই বিতর্কিত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন মোহামেডান অধিনায়ক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট সাকিব রাগে ক্ষোভে উইকেটে লাথি মেরে ননস্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে ফেলেন। সাকিব ওখানেই থামেননি। গালিগালাজ দিতে দিতে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। আবাহনী ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।
সাকিবকে টেনে নিজেদের ড্রেসিংরুমে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। ওখানে চলে দুই দলের কথার লড়াই। পরের ওভার শেষে ফের স্টাম্প তুলে আছাড়ও মারেন সাকিব!
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তেজনা ছাপিয়ে আলোচনায় এখন সাকিব আল হাসানের এ কাণ্ড! এমন আচরণের জন্য বাংলাদেশের সুপারস্টার এ ক্রিকেটারকে শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
শুভ মাহফুজ