নড়াইলে প্রায় দুই হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের ২৫ লাখ টাকা আর আমানতের ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও একটি এজেন্ট ব্যাংকের শাখা। এতে বিপাকে ভুক্তভোগীরা। প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা সমাধান পেতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন ব্যাংকের স্থানীয় শাখায়।
নড়াইলের ডহর চাচুড়ী গ্রামের মৎস্যজীবী পিটু বিশ্বাস। মাছ ধরে জমিয়েছিলেন ৩ লাখ টাকা। মাসে ৮শ’ টাকা পাবেন- এই লোভে স্ত্রীর নামে ৩ লাখ টাকা জমা রাখেন চাচুড়ি বাজারে চালু হওয়া এশিয়া ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায়। তার মত কয়েকশো গ্রাহক এককালীন ও মাসিক সঞ্চয়ী আমানত রাখেন প্রায় দুই কোটি টাকা।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এজেন্ট ব্যাংকের এই শাখায় জমা নেয়া শুরু হয় বিদ্যুৎ বিল। আশেপাশের ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার মানুষের তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল জমা না দিয়ে উধাও হয়ে যান এজেন্ট ব্যাংকের পরিচালক খায়রুল বাশার। শুধু বিদ্যুৎ বিল নয়, আমানতের দুইকোটি টাকাও তিনি জমা দেননি ব্যাংকে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা।
ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের এমন জালিয়াতিতে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকটির কর্মকর্তা দিলেন ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে নড়াইলের চাচুড়ি বাজারে যাত্রা শুরু হয় এশিয়া ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের।
এস