আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

খিটখিটে মেজাজ! মন ভাল রাখতে পরিবর্তন আনুন জীবনধারায়

খিটখিটে মেজাজ! মন ভাল রাখতে পরিবর্তন আনুন জীবনধারায়
দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, ব্যস্ততা, শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকেরই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। শুধু বয়স্কদের নয়, কমবয়সি ছেলে-মেয়েদের আচরণেও এইধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলেই মেজাজ, বিশেষত মন ভাল রাখা যায়। মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাসায়নিক হল ডোপামাইন। এই হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে মন ভাল থাকে। নির্দিষ্ট কিছু সময় এবং আচরণে পরিবর্তন আনলে স্বাভাবিক হবে ডোপামাইন ক্ষরণ।

পছন্দের খাবার খাওয়ার সময়

শরীরের চাহিদা পূরণের জন্য খাওয়া-দাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারে পছন্দের খাবার খাওয়ার সময় মস্তিষ্কে ডোপামাইন ক্ষরণ হয়। তাছাড়াও খাবার যখন পাকস্থলীতে পৌঁছয়, তখনও এই হরমোন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়।

মেজাজ
মেজাজ

বাড়াতে হবে পানি পানের পরিমান

চড়া রোদে তেষ্টায় যখন গলা শুকিয়ে আসে, তখন এক চুমুক পানি যেন প্রাণ ফিরিয়ে দেয় শরীরে। জানেন কি, এই সময়েও ডোপামাইন নিঃসরণ হয়। শুধুমাত্র তেষ্টা মেটানোর সময়েই নয়, সারাদিন যে কোনও সময় পানি পান করলেই এই হরমোন নির্গত হয়।

প্রশংসা শুনলে

বন্ধু, সহকর্মীদের থেকে ভাল কাজের জন্য প্রশংসা শুনতে কার না ভাল লাগে! এইক্ষেত্রেও হরমোন নিঃসরণ হয়। অন্যদিকে শিশুদের ক্ষেত্রে, তাদের আচরণের জন্য প্রশংসা করা হলেও ডোপামাইন ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়।

ভিডিও গেম খেলার সময়

সারাদিনের ব্যস্ততার পর মাঠে দৌড়াদৌড়ি করে খেলার সময় অনেকেরই থাকে না। সেক্ষেত্রে ভিডিও গেমই ভরসা। মজারও বটে। ভিডিও গেম খেলার সময়েও ডোপামাইন ক্ষরণ হয়। তবে শিক্ষার্থীদেরকে সবসময় ভিডিও গেম খেলতে একেবারেই নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যৌনতায় লিপ্ত হলে

যৌনতায় লিপ্ত হলে শরীর থেকে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ হয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই হরমোন নিঃসরণ হলে ডোপামাইন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বাড়ে। যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।

মেজাজ
মেজাজ

মেডিটেশন, এক্সারসাইজ করলে

মন ভাল রাখতে মেডিটেশনের জুড়ি মেলা ভার। যোগা, এক্সারসাইজ, খেলাধুলা, বা নাচ করার সময় ডোপামাইন হরমোন নিঃসরণ হয় বেশি মাত্রায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন খিটখিটে | মেজাজ | মন | ভাল | রাখতে | পরিবর্তন | আনুন | জীবনধারায়