চারপাশে কোথাও জনমানব নেই। থাকার কথাও নয়, এর আগে মানুষের পা পড়েনি যে সেখানে! এতদিন অবধি অনাবিষ্কৃতই রয়েছিল ভারতের উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগের হ্রদটি।
৬ তরুণ- অভিষেক পানওয়ার, আকাশ, বিনয় ললিত মোহন, অরবিন্দ এবং দীপকের ৬ অভিযাত্রীর উৎসাহে সন্ধান মিলেছে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। গাড়োয়াল হিমালয়ের কোলে অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্যের হ্রদটি আবিষ্কার করেন তারা।
বন্ধু অভিষেক এই ট্রেকের গাইড ছিলেন। রুট ম্যাপ জেনে নিয়ে তার নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। খাড়া পাহাড়ে ১১ কিলোমিটার ট্রেক করে মদমহেশ্বর পৌঁছায় দলটি। সেটিকেই বেস ক্যাম্প হিসাবে ধরে হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাসের মধ্যে দিয়ে ট্রেক করে ১ সেপ্টেম্বর সকালে পৌঁছায় ৬ তরুণের সেই গন্তব্যে।
কোভিডের কারণে গৃহবন্দি থাকার সময় একঘেয়েমি সময় কাটছিলো ছয় বন্ধুর। এই একঘেয়েমিভাব কাটাতেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা। ইন্টারনেটে মজার এবং নতুন নতুন তথ্য খোঁজা শুরু করেন ছয় বন্ধু। সেভাবেই একদিন গুগল আর্থে হঠাৎই একটি হ্রদের হদিশ মেলে। চমৎকৃত হয়ে ওঠেন তারা। আরও খোঁজ খবর করে দেখা যায়, এর আগে কোনও মানুষের পা পড়েনি ওই হ্রদের আশেপাশে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬ হাজার ফুট উঁচু। চারদিকে বাদামি পাহাড়, বেশিরভাগই বরফে ঢাকা। ঠিক তার মাঝখানে আশমানি-নীল স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ পানির হ্রদ! হিমেল হাওয়ার ধোঁয়ায় ঢেকেছে তার চারপাশ। দেখে হবাক হয়ে এক কাতারে তাকিয়ে থাকলেন তারা কিছুক্ষণ । পুরো অভিযানটি শেষ করতে ৬ বন্ধুর সময় লেগেছিলো ছয় দিন।
ফেরার আগে আধ ঘণ্টা সেখানে কাটিয়েছেন তারা। তাদের আবিষ্কারের কথা জানার পরেই হ্রদটির ব্যাপারে বিশদে খোঁজ করতে শুরু করেছে উত্তরাখণ্ডের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া