রমজানে আটটি জরুরি পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ যারা বাকিতে আমদানির সুবিধা পাবেন তাদের ডেফার্ড পেমেন্ট বা ছয় মাসের মধ্যে পেমেন্ট দিতে হবে- এমন শর্ত রয়েছে। বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনদিনের সফরে রংপুরে এসে ডায়াবেটিক সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডলারের যা দাম বেড়েছে আমাদের আমদানি আইটেমগুলোর ওপর তার প্রভাব পড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তখন ডলারের ভ্যালু ধরে হিসাব করে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এখনও মূল্যস্ফীতি কম। যে কারণে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে। সব মিলিয়ে অন্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি।
তিনি আরও বলেন, গেলো সাত মাসে বিদ্যুতের ব্যবহার প্রায় ৪০-৪৫ ভাগ কম হয়েছে। আমদানি এবং রপ্তানিতে ব্যবধানটাও কমে এসেছে। আমরা কিছুটা সীমাবদ্ধতা নিয়ে এসে বিলাসবহুল গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যগুলোর আমদানি কমিয়ে এনেছি। নিত্যপণ্যের বাজারে ডলার ভ্যালু যতদিন পর্যন্ত ঠিক না হবে ততদিন পর্যন্ত ইমপোর্ট আইটেমের ওপরের প্রভাব থাকবেই। তবে শীতকালীন পণ্যের দাম কিন্তু সহনীয় পর্যায়ে আছে। চাল, ডাল, তেল ও চিনিসহ যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় তার দাম তো বিশ্ব বাজরের ওপর নির্ভর করে। এটা কখন কমবে বা বাড়বে বলা মুশকিল। টিসিবি এক কোটি পরিবারকে পণ্য দিচ্ছে এটা চলমান থাকবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল, আন্দোলন তারা করবে। সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচন গণতন্ত্রের শেষ কথা। রাজপথে আন্দোলন করে কেউ কাউকে সরিয়ে দেবে এটা সম্ভব নয়। তাদের প্রতি আহ্বান, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনে সবাইকে আসা উচিত। তাহলেই দেশ শান্তিতে থাকবে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমরা চাই ফেয়ার নির্বাচন হোক। মুখে বলব ফেয়ার হোক, আর কাজ করব অন্যটা সেটা তো হবে না। আমি যা বলি তাই, মনে প্রাণেও সেটা বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষ যেমনটা চায়, তেমনটাই হোক। এলাকার উন্নয়নও হোক। আওয়ামী লীগ বড় দল, সে কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে রংপুর সিটি নির্বাচনে খারাপ ফলাফল হওয়ার কথা নয়।