কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত আট জন তিন দিন পর গভীর রাতে ঘরে ফিরেছেন। রোববার বিকালে জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতরের খালে মাছ ধরতে গেলে তাদের অপহরণ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফ থানার আওতাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মশিউর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
অপহরণকৃতরা হলেন কক্সবাজার কলেজের শিক্ষার্থী আবছার উদ্দিন (২২), নুরুল মোস্তাফা (৩৪), করিমুল্লাহ (২০), নুর মোহাম্মদ (২৪), মোহাম্মদ উল্লাহ (৩৮), সেলিম উল্লাহ (৩২), রিদুওয়ান (১৮) ও নুরুল হক (৫২)।
মশিউর রহমান জানান, অপহরণকারীরা ছেড়ে দেওয়ার পর বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তারা ঘরে ফিরেছেন। ঘরে ফেরাদের তদন্ত কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অপহরণের পর থেকে পুলিশ বিরতিহীনভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ড্রোন ব্যবহার করে ধারাবাহিক অভিযানের ভয়ে অপহরণকারীরা এদের ছেড়ে দিয়েছে, নাকি অন্য কিছু তা জানতে পুলিশ কাজ করছে।
স্থানীয়দের দাবি, অপহৃত পরিবারের সদস্যরা অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে নির্ধারিত অংকের মুক্তিপণ দেওয়ায় এদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কারও সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম জানান, এ ঘটনায় অপহৃত করিমুল্লাহর ভাই মোহাম্মদ হাবীব বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এর আগে রোববার বিকালে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গেলে আটজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী একদল ব্যক্তি। পরে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকার মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে জানিয়েছিলেন অপহৃতদের স্বজনরা।