আগামী মওসুমের আগে এ বার ছোট নিলাম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ছোট নিলাম আর ছোট রইল না। সেখানেও টাকার ছড়াছড়ি। আগের আইপিএলের সব রেকর্ড ভেঙে গেলো। আগামী বছর প্রতিযোগিতার আগে নিজেদের দল গুছিয়ে নিল ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি।
এ বারের নিলামে মোট ৪০৫ জনের নাম ছিল। তার মধ্যে ২৭৩ জন ভারতীয় ও ১৩২ জন বিদেশি। মোট ৮৭ জন ক্রিকেটারকে কেনা যেত। তার মধ্যে ৮০ জন বিক্রি হলেন। এই ৮০ জনের পেছনে খরচ হল ১৬৭ কোটি টাকা।
নিলামের পরে ১০টি দলের মধ্যে সাতটি দল তাদের পুরো দল তৈরি করে ফেলেছে। অর্থাৎ তাদের দলে ২৫জন করে ক্রিকেটার রয়েছে। তার মধ্যে ৮জন করে বিদেশি ক্রিকেটার।
সেই দলগুলি হল চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, গুজরাত টাইটান্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে রয়েছে ২৪ জন ক্রিকেটার। অর্থাৎ, আরও এক জন কিনতে পারত তারা। তবে বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা শেষ করেছে তারা।
সব থেকে কম ২২ জন করে ক্রিকেটার রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পঞ্জাব কিংসে। দু’টি দলেই রয়েছে ২২ জন করে ক্রিকেটার। কলকাতা তাদের ৮জন বিদেশির কোটা পূর্ণ করে ফেললেও পঞ্জাব দলে এক জন কম বিদেশি রয়েছে।
এ বারের আইপিএলে সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন স্যাম কারেন। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারের দাম উঠল ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি। কারেন ছাড়া হ্যারি ব্রুক ও বেন স্টোকসও অনেক দাম পেলেন। ব্রুক ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা পেলেন। স্টোকস পেলেন ১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডাররাই এ বারের নিলামে সবার নজরে ছিলেন। সেটাই দেখা গেল।
নিলামের আগে সব থেকে কম ক্রিকেটার ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সে। সব থেকে কম টাকাও ছিল তাদের কাছে। নিলামের শুরুর দিকে তারা তেমন ক্রিকেটার কিনতে না পারলেও শেষ দিকে চমক দিল কেকেআর। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ডেভিড উইজ়ার মতো ক্রিকেটারকে কিনল শাহরুখ খানের দল।
এক কোটি ৫০ লাখ টাকায় কেকেআর কিনে নেয় সাকিবকে। লিটনকে দেয়া হয় ৫০ লাখ টাকা।